আমরা তিন ভাই প্রতিবন্ধী
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ০৮/১১/২০২৩ , ৫:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জীবন ধারা,জেলা সংবাদ,রংপুর বিভাগ


আব্দুল আলীম প্রামানিক, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কোল ঘেষে প্রবাহিত আগ্রাসী তিস্তা নদী। তিস্তার কড়াল গ্রাসে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিস্তর এলাকা বিলিন হয়েছে নদীগর্ভে। সর্বস্ব বিলিন হওয়া মানুষের কষ্টের গল্প সকলেরই জানা। এই সকল মানুষের ভিরে আলমবিদিতর ইউনিয়নের ব্যাংপাড়ার মৃত সাহানত আলীর তিন পুত্র মো. বেলাল হোসেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, মো. দুলাল হোসেন শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং সর্ব কনিষ্ঠ মো. শাহ আলমও শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের কষ্টে ভরা জীবনের গল্প স্থানীয় সকলের মর্ম স্পর্শ করেছে। এই তিন প্রতিবন্ধীর ও পৈতৃক বসত ভিটা তিস্তার ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ায় বর্তমানে ব্যাংপাড়া নদীর তীরবর্তী পিচিং ঘেষে বসত ভিটা নির্মাণ করে কোন রকমে সন্তান- সন্ততি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে।
মো. বেলাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “হামরা তিন ভাই প্রতিবন্ধী, হামার আর কোন জায়গা নাই, বাপের বিয়াল্লিশ শতক জায়গা আছে সেটাও পুকুর, ওটে বাড়ি কইরবার গেইলে পুকুর মোন্দা নাগবে। পুকুর মোন্দেবার গেইলে তো মেশিন নাগা নাগবে। হামর পুকুর মোন্দেবার ব্যবস্থা অফিস-আদালত ঘুরি কায় করি দেয়”।
প্রতিবন্ধী বেলাল, দুলাল ও শাহ আলম তাদের পৈতৃক জমিতে বসত ভিটা নির্মাণ করে সুন্দর ভাবে বাঁচতে চায়। সেজন্য উক্ত পুকুর ভরাটে প্রয়োজন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন
চেয়ারম্যানসহ সুধী জনের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে পুকুর ভরাটসহ বসত ভিটা নির্মাণের ব্যবস্থা করলে, নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করা এই মানুষগুলোর দুঃখের দিন শেষ হয়ে, আনন্দের হাসিতে ভরে উঠবে তাদের জীবন।