আজ: ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৪:২৮
সর্বশেষ সংবাদ
জেলা সংবাদ, ঢাকা বিভাগ কাপাসিয়ায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও নবজাতকসহ অপহরণের দায়ে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

কাপাসিয়ায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও নবজাতকসহ অপহরণের দায়ে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ০১/০৯/২০২২ , ৬:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,ঢাকা বিভাগ


মোঃ নুরুজ্জামান শেখ গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলী যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে বাচ্চা প্রসব ও বাচ্চাসহ কিশোরীকে অহরণের অভিযোগে গাজীপুর আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত (পিটিশন মামলা নং ২২৭/২২) থেকে এই তথ্য জানা যায়। মামলার বাদী ভূক্তভোগী মেয়ের পিতা (আইনী কারণে সামাজিক পরিচিতি দেওয়া গেলো না)। পিটিশন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে একমাত্র আসামী করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কিশোরী গৃহকর্মীকে স্ত্রীর অনুপুস্থিতিতে প্রায়ই ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করতেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে দুই মাস আগে চেয়ারম্যান তার বাড়ির কাজের লোকের সাথে জোরপূর্বক গর্ভবতী কিশোরীকে বিয়ে পড়িয়ে দেন। অতঃপর ১ আগষ্ট গর্ভবতী কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তরগাঁও খেয়াঘাটে এক বাসায় ভাড়া রাখেন চেয়ারম্যান। ১৬ আগষ্ট মেয়েটিকে কাপাসিয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বাচ্চা প্রসবের পর বাচ্চাসহ কিশোরীকে পুণরায় ভাড়া বাসায় ফেরত আনা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সাংবাদিকেরা ওই ভাড়া বাসায় ভীড় করে ও মেয়ের ভিডিও বক্তব্য নেয়। অপরাধ লুকানোর জন্য চেয়ারম্যান ২৯ আগষ্ট রাতে বাচ্চাসহ মেয়েটিকে ভাড়া বাসা থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু চেয়ারম্যান কিশোরী ও বাচ্চা নেন নি বলে সাংবাদিক ডেকে জানিয়ে দেন। এরই মধ্যে ৩১ আগষ্ট সাংবাদিকদের নিকট চেয়ারম্যান কিশোরীর একটি ভিডিও প্রদর্শন করেন। দ্বিতীয় এই ভিডিওতে চেয়ারম্যান নির্দোষ বলে মেয়েকে বলতে শোনা যায়। কিন্তু মেয়েটি কোথায় থেকে এই ভিডিও করেছে সে সম্পর্কে চেয়ারম্যান কোন বক্তব্য দেননি।

এদিকে ভাড়া বাসার লোকজন সাংবাদিকদের জানান, গত (২৯ আগস্ট ২০২২) ভাড়াটিয়া ওই কিশোরীর নিকট চেয়ারম্যানের স্ত্রী নাজমা আক্তার শান্তা ও শান্তার ভাই ছাড়া আর কেউ আসে নাই।
এই ঘটনার পর চেয়ারম্যান মেয়েটিকে বাচ্চাসহ অপহরণ করেনি বলে জানালেও অপহৃত অবস্থায় ভিডিও দেখিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধান বলেন, তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। ডিএনএ টেষ্টে তিনি অপরাধী হলে স্ত্রী সন্তান মেনে নিবেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান নারী ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজনের নামে কাপাসিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগ দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ ‘এফ এম নাসিম’ জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনেছি, কিন্তু কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হতো। তবে মেয়েটি নিখোঁজের পর থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে এবং চেয়ারম্যানকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।

Comments

comments