ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বানের পানিতে ভেসে গেছে ৮৭ মেট্রিক টন মাছ, ভেসে আসছে মদ-বিয়ারের বোতল
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ২০/০৬/২০২২ , ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: চটগ্রাম বিভাগ,জেলা সংবাদ,সারাদেশ

আসাদুজ্জামান আসাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ইউনিয়নের ১০৯টি পুকুর তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৮৭ মেট্রিক টন মাছ ও ৪ লাখ মাছের পোনা। এদিকে বানের পানিতে ভেসে আসছে মদ, বিয়ার, নানা ধরনের প্লাস্টিকের খালি বোতল সহ বিজেপির পতাকাও।
গত শনিবার(১৮জুন) ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ২ ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে গ্রামগুলোতে থাকা অনেক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
আজ সোমবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নামতে শুরু করেছে বানের পানি। আর বানের পানির সাথে ভেসে আসছে মদ, বিয়ার, নানা ধরনের প্লাস্টিকের খালি বোতল সহ বিজেপির পতাকাও। বানের পানিতে ভেসে আসা নানা ধরনের জিনিসপত্র উদ্ধার করছে তিন তরুন।
কি কি পাওয়া যাচ্ছে এবং এই গুলা কেন জমা করছে জানতে চাইলে তারা জানান, গতকাল থেকে পানি নামতে শুরু করলে পানির মধ্যে ভেসে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের খালি বোতল তাদের চোখে পড়ে। তাই বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা থেকেই তারা এইগুলো জমা করছে। পানি থেকে এইগুলা উঠাতে গিয়ে তারা হেডফোন, নষ্ট মোবাইল, খালি ভারতীয় পানির বোতল, মদ ও বিয়ারের বোতল সহ পেয়েছেন ভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপির পতাকাও।
এদিকে জানা যায়, আকস্মিক বন্যার কারণে এবার আগাম কোনো প্রস্তুতি নিতে না পারায় বানের জলের স্রোতে জাল দিয়ে ঘেরাও করেও পুকুরের মাছ আটকানো যায়নি। অনেক পুকুরের পাড়ও ভেঙে গেছে। সব মিলিয়ে সেখানকার অনেক মৎস্য চাষি এখন পুঁজি শূন্য হয়ে পড়েছেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ, মোগড়া ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ১০৯টি পুকুর তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, অতিবর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৩টি ইউনিয়নের ১০৯টি পুকুর তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৮৭ মেট্রিক টন মাছ ও ৪ লাখ মাছের পোনা। এতে স্থানীয় মৎস্য চাষিদের এক কোটি ২৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।