লোহার এক কেজি নাটের দাম কোটি টাকা, বল্টুর দাম অর্ধকোটি
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ২১/০৩/২০২২ , ৬:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,প্রধান সংবাদ,সিলেট বিভাগ


সিলেট ব্যুরো: এবার সিলেটের শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (এসএফসিএল) নাট-বল্টু কাণ্ডে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানাটির জন্য নাট-বল্টু আনা হয়েছে আমেরিকা থেকে। সেই নাট-বল্টু আবার সরবরাহ করেছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি।
লোহা বা স্টিলের এক কেজি নাটের দাম দেখানো হয়েছে ১ কোটি টাকা। বল্টুর দাম তার অর্ধেক, প্রতি কেজি ৫০ লাখ টাকা। এই তালিকায় আরও আছে এক্সপেন্ডার হুইল। রাবার ও লোহায় তৈরি ছোট আকারের এই ঘূর্ণমান চাকার কেজি পড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। আধা কেজি ওজনের একটি লোহার স্প্রিংয়ের দাম ১৬ লাখ টাকা। সরকারি অর্থে এ রকম অস্বাভাবিক দাম দিয়ে সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে ফেসবুকে।
সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন বহু মানুষ। ফেসবুকে শেখ সাফাজ নামে একজন লিখেছেন, ‘‘রুপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারিকেও হার মানায়। শিক্ষিত মানুষ কলমের খোঁচায় যে পরিমাণ ডাকাতি করে রাতের আধারে ডাকাতি করে দেশের এত বড় ক্ষতি করে না
বালিশ কাণ্ডের মতো আরও একটা কাণ্ড। এবার নাম হচ্ছে, নাট-বল্টু কাণ্ড। তবে এই নাট-বল্টু, ছোটবেলার সেই কার্টুনের নাট-বল্টু না। এই নাট-বল্টুর এক কেজির দাম ১ কোটি টাকা! লিমিটেরও একটা দুর্নীতি থাকা উচিত! দুদকের পদক্ষেপ কি হয় তা দেখার অপেক্ষায়…।’’
ছগীর আহমাদ লিখেছেন, ‘‘সরকারি চাকুরিজীবীদের দুর্নীতি কখনোই শেষ হবে না যতক্ষণ না আইন পরিবর্তন হয়। যে কোনো অন্যায় করলে শাস্তি হিসেবে প্রত্যাহার করা হয়। ওরা ভালো করেই জানে চাকরি তো যাবে না সর্বোচ্চ প্রত্যাহার করবে, ব্যাপার না নতুন যায়গায় কাজ অব্যাহত থাকবে।
যদি বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুত করা হতো সাথে অপরাধ অনুযায়ী জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো তাহলে এই ধরনের কাজ করার দুঃসাহস দেখাতো না।’’
মোঃ আলামিন লিখেছেন, ‘‘এইসব চুরি তো আর কোন অশিক্ষিত গরিব লোক করছে না, সব শিক্ষিত লোকেরা করছে, আমলারা করছে, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ইঞ্জিনিয়াররা করছে। তাহলে চুর কিভাবে সমাজের আদর্শ হবে,সমাজের নেতৃত্ব দিবে।আসলে আমরাই লজ্জিত, সমাজ কিভাবে তৈরি করতে হয় শিখতে পারি নাই। হতভাগ্য আমার দেশ হতভাগ্য বাংলাদেশ।’’
আক্ষেপ করে আবুজাফর হারুন লিখেছেন, ‘‘একটা কলার দাম ১০০টাকা একপিচ পাওরুটির দাম ২০০টাকা একটা বালিশের দাম ৫০০০টাকা ১টা পর্দার দাম ৭০ হাজার টাকা হলে ১ কেজি নাটের দাম ১ কোটি টাকা হইলে এটা একটা সাধারণ বিষয়। যত টাকা দাম হোক তাতে কি হয়েছে?দেশ তো উন্নয়ন হইতেছে।আর সেই উন্নয়নের জোয়ারে সোনার বাংলা ভাসিতেছে।আর আমরা সাধারণ জনগণ সাঁতার কাঁটিতেছি।’’