নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার; ৯ জনের ফাঁসি, ১জনের যাবজ্জীবন
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৪/০৩/২০২২ , ৮:০৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,প্রধান সংবাদ


নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে ৮বছর আগে আলোচিত তিন খুনের মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় দেন। গত ২০১৪ সালের ৬ জুন জেলার বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যা করা হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামের মৃত নছির হোসেন এর দুই ছেলে মো.সাইদুল ( পলাতক), ও মো.জায়েদ, আবুল হোসেন ও তার তিন ছেলে জালাল হোসেন, বেলাল হোসেন, হেলাল হোসেন, মো. হাসেম এর ছেলে মো.জায়েদ ( পলাতক), মৃত কালু মন্ডল এর ছেলে মো.মোস্তফা এবং সাইদুল ইসলাম এর ছেলে মো. সোহাগ আলী । এছাড়া একই গ্রামের মৃত মছির এর ছেলে মো. হাসেম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ-দ্বিতীয় আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাফিজার রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী মো.মোজাহার আলী বলেন, ২০১৪সালে ২০১৪ সালের ৬ জুন জেলার বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যা করা হয়। আজ ( সোমবার) আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে করে ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে মনে করি। এখন তা কার্যকর দ্রুত করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
আসামী পক্ষের আইনজীবি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বদলগাছীতে ২০১৪সালে ঘটে যাওয়া আলোচিত তিন খুনের মামলার রায় আজ আদালত দিয়েছেন। এতে ৯জনকে ফাঁসি ও ১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আপদত এটা কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা। তবে, দন্ডপ্রাপ্তদের পরিবার উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৪সালের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদ গণদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন বিকেল ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই গ্রামের হাসেম আলী, ছাইদুল, আইজুল হক, জালাল হোসেন, হেলাল হোসেন, বেলাল, জায়েদ গংরা হামলা চালিয়ে শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ ও আব্দুল ওয়াদুদ আহত অবস্থায় পরদিন (৭জুন ) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাদি ২২ জনকে আসামী করে মামলার পর পুলিশ সাত জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। ২৪ জনকে আসামী করা হলে চার্জশীটে দুইজনের নাম বাদ দেয়া হয়। অন্যদিকে মারা যান আরও দুইজন। আর ১০জনকে মামলা থেকে অব্যহতি ( খালাস) দেয়া হয়।