নির্বাচন অফিসে লোকবল সংকট, দূর্ভোগে নবীনগরবাসী
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৩/০৩/২০২২ , ৮:০৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ


বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়: ভোগান্তি আর সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা নির্বাচন আফিসে সেবা নিতে আসা লোকজন । জনবল সংকটের কারনে সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিস।এতে করে উপজেলাটির সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
৩৫০.৩৩ বর্গ কিলোমিটার (৮৬,৫৬৮ একর) আয়তনের এই উপজেলাটি ১টি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নের দুই’শতাধিক গ্রাম নিয়ে গঠিত ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই উপজেলা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে চলতি হিসাবে উপজেলার মোট ভোটার সংখ্য ৩,৮৮,৫৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯৬২০৪ ও মহিলা ভোটার ১৯২৩৩০ জন। জানা যায়, নবীনগর উপজেলায় গত ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কোন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম হয় নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে উপজেলায় লক্ষাধিক নতুন ভোটার হওয়ার কথা। তাই প্রতিদিন উপজেলা নির্বাচন অফিসে শতশত মানুষ ভোটার সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।সপ্তাহ কিংবা মাসেও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষাধিক নতুন ভোটর নিবন্ধন ও উপস্থিত ভোটরদের সেবা প্রদানে উপজেলার নির্বাচন অফিসটিতে রয়েছে একজন নির্বাচন অফিসার, দুই জন ডাটা এন্টি অপারেটার ও একজন অফিস সহায়ক। গত এক মাস পূর্বে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত যিনি ছিলেন তিনিও মারা গেছেন। মাত্র ৪ জন জনবল নিয়ে অনেক কষ্ট করে সেবা দিচ্ছেন উপজেলার নির্বাচন অফিস। তবে আয়তন ও বেশি জনসংখ্যার এই উপজেলায় জনসাধারনের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন অফিস।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলায় লক্ষলক্ষ মানুষ জীবিকার তাগিদে প্রবাসে অবস্থান করেন। তারা ছুটিতে দেশে এসে নতুন ভোটর হওয়া সহ বিভিন্ন কাজ নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসেন। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রবাসে থাকা অনেকে দেশে এসেছেন।যাদের অনেকেই নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসেন। প্রবাসী সহ স্থানীয় অনেকেই জানান, ভোটার হওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েও ভোটার হতে সময় লাগছে। অনেক লম্বা লাইন। অফিসটিতে জনবল কম থাকায় এ সমস্যার মূল কারন হতে পারে। এছাড়াও গত কয়েক বছর যাবত ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয় না। মাঠ পর্যায়ে ভোটর তালিকা হালনাগাদ হলে আমাদের এই কষ্ট অনেক কমে যেত। এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ অনেক জরুরি হয়ে পরেছে।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড. শিব শংকর দাস বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ শুরু হলে জনসাধারনের এই ভোগান্তি অনেক কমে যাবে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলি আজগর জানান, ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে বিশাল উপজেলায় ভোটারদের মাত্র ৪ জন জনবল নিয়ে নতুন ভোটর নিবন্ধন, পরামর্শ, আবেদন,যাচাই বাছাই,স্মাট কার্ড বিতরন,সংশোধণী কার্যক্রম,সরেজমিন তদন্ত সহ নানা সেবা আমাদের সাধ্য মত দিয়ে যাচ্ছি। তারপরেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ হলে সকল মানুষের শতভাগ চাহিদা পুরণ হবে। এই বিষয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, নবীনগর উপজেলা অনেক বড় উপজেলা। এখানে ভোটার সংখ্যাও অনেক বেশি। এখানে গত পাঁচ-ছয় মাস নির্বাচনের জন্য আমাদের সেবা দিতে একটু বিঘ্ন হয়েছে। আমরা দু-তিন মাসের মধ্যেই উপজেলায় ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কাজ শুরু করবো। তখন সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।