এনজিও কর্মী সেজে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৩/০৩/২০২২ , ১২:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,প্রধান সংবাদ,সিলেট বিভাগ


রাজা মিয়া রাজ: হাওরে বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এ সময় ব্যাগ হাতে মাঠে যান এক ব্যক্তি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মী পরিচয় দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কৃষকদের সঙ্গে জমিতে পানিসেচ, ফলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে হাওরে কাজ করা হাবিবুর রহমান ওরফে গেদা (৪২) নামের এক ব্যক্তির পাশে গিয়ে তাঁকে জাপটে ধরেন ওই ব্যক্তি। এ সময় হাবিবুর রহমান পালানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। হঠাৎ এমন কাণ্ড দেখে আশপাশে থাকা কৃষকেরা বিস্মিত হয়ে যান। তবে পরে জানতে পারেন, এনজিও কর্মী পরিচয়ে আসা ব্যক্তি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজীব রায়।শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বটেরটল হাওরে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান পৃথক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার প্রতিটিতে ১০ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত। ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওই দুই মামলার রায় হয়। এর আগে থেকেই পলাতক হাবিবুর রহমান। হাবিবুর বটেরটল গ্রামেরই বাসিন্দা।
হাবিবুরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের তাঁকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়। একপর্যায়ে হাওরে কৃষিকাজ করার কথা জানতে পারে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই রাজীব রায় বলেন, হাওরের মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে কাউকে খুঁজতে গেলে আগে থেকেই তৎপর হয়ে আসামির পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য ভিন্ন পরিচয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিভিন্ন থানা পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের কৌশল অবলম্বন করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাফল্য এসেছে। গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমানকে রোববার আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।