আজ: ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৪:২২
সর্বশেষ সংবাদ
জেলা সংবাদ, সিলেট বিভাগ সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প, লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যাতিক্রমী আন্দোলন

সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প, লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যাতিক্রমী আন্দোলন


পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ০৯/০৩/২০২২ , ৫:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,সিলেট বিভাগ


রুবেল আহমদ ,সিলেট জেলা প্রতিনিধি :

দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলের ও গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে জ্বালানি তেল ও গ্যাস না পাওয়ায় ফুসে উঠেছেন সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। ৬ দফা দাবিতে বুধবার প্রায় তিনশত ট্যাংকলরি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ৫টি সংগঠনের মালিক-শ্রমিকরা।  এতে সিলেট শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প , সিএনজি- এলপিজি, ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র পক্ষ থেকে বুধবার ৩শত ট্যাংকলরি নিয়ে ৬দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে উক্ত সংগঠনগুলো।

উল্লেখ্য যে গত (৫ মার্চ) শনিবার রাতে উপশহরস্থ কার্যালয়ে ঐক্য পরিষদের এক বর্ধিত সভায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, পেট্রোল-ডিজেল সবররাহ বন্ধ থাকায় নগরীর  বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন জ্বালানিশূণ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সভায় জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় এবং পরদিন রোববার (৬ মার্চ) সিলেটের জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে তাদের ৬ দফা দাবী উত্থাপন  করা হয় ।

৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সিলেট বিভাগ জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃক কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবেন না। যদি বিচ্ছিন্ন করা হয় তবে সিলেট বিভাগের সকল সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে। সভায় আরো সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়, অবিলম্বে গ্যাসের লোড যেন বৃদ্ধি করা হয়। পেট্রোল, অকটেন, ডিজেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে ট্যাংকলরির ডেসপাস চালু করতে হবে।

আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় সিএনজি, পেট্রোল পাম্প, এলপিজি, ট্যাংকলরী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এর আহ্বায়ক সিরাজুল ইসরাম আহমদ আলমগীর এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, হুমায়ুন আহমদ, আলী আহমদ, এনামুল হক রুবেল, খান মো: ফরিদ উদ্দিন বাবর, নুরুল ওয়াছে আলতাফী, সাজুওয়ান আহমদ, ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম আদনান, সুব্রত ধর বাপ্পি, আলী আফছার মো: ফাহিম, মনিরুল ইসলাম, হাজী হোসেন আহমদ, হুরাইয়ারা ইফতার হোসেন, লোকমান আহমদ মাছুম, মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সাহেদ, মো: আব্দুল মুমিন, জুবের আহমদ খোকন, মো: সানোয়ার আলী, আফজল আহমদ, অশোক রঞ্জন দাস, মো: ফখরুল ইসলাম, মো: ফয়জুল ইসলাম, ফরহাদ আলী ইমন, স্যার জন রাসু, মনির হোসেন, কাওছার আহমেদ, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: আব্দুল কুদ্দুছ তালুকদার, ইকবাল মিয়া, মো: আজিজ মিয়া, রাজন মিয়া প্রমুখ।

Comments

comments