নারীর বিদ্রোহী সত্তা
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ০৮/০৩/২০২২ , ২:৩৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: নারী ও শিশু,সম্পাদকীয়


সমাজ ব্যবস্থার প্রাচীন অনুশাসনের মর্মস্পর্শী বিধি,
নিঃসম্বল পিতা আর পণপ্রথার যাঁতাকলে পিষ্ট
কন্যার অবর্ণনীয় দুর্যোগ।
উনিশ শতকের ক্রান্তিলগ্নে গ্রাম বাংলার সামাজিকতায়
নারী নিগ্রহের কঠোর অভিশাপ,
সামাজিক বেষ্টনীতে ঘটে যাওয়া
পল্লীবালার নির্মম নৃশংস ঘটনা।
ফুটে ওঠে আজও শতবর্ষের সেই শেষ পরিণতি আত্মহনন,
যৌতুক প্রথা–বাল্য বিবাহের অভিশাপের সাথে যুক্ত হয়েছে নারীর বিদ্রোহী সত্তা।
কালের প্রভাবে নারী জীবনের ক্ষেত্র স্বতই প্রসারিত ,
শব্দতুলির হরেক আচড়ে–কখনো সে নারী বহুবর্ণা উজ্জ্বল, কখনো বা ধূসর জীর্ণতা।
কবিতা থেকে উপন্যাস এবং প্রবন্ধে নারী কখনো উদারতা–কখনো রক্ষণশীলতা,
নারীর ভাবনা নানা বিচারে, নানা তত্ত্বের ভারে অপার রহস্যময়তা।
নারী ভাবনায় গভীর রক্ষণশীলতা এবং দুই নারী তত্ত্বে তথা ‘‘প্রিয়া ও জননী,
প্রিয়া মাতা–অর্ধেক মানবী বা কল্পনা–তিনি যেভাবেই হোক সে নারী।
বউ রাণীর হাট, রাজর্ষির পর উপন্যাস চোখের বালির,
ব্যক্তি স্বাতন্দ্র্যবোধের বিদ্রোহ ধ্বজা উড়িল নারীর।
নতুন যুগ এসেছে, নতুন সভ্যতা গড়বার কাজে নারীরা এসে দাঁড়িয়েছে আজ,
জীবনে ও সৃষ্টিকর্মে দুই জায়গাতেই মিলছে নারীর মুক্তির প্রয়াস।
মনের বিপ্লবী চেতনায় জীবনকে গ্রহণ করেছে নারীরা নতুন ভাবে,
ঘোমটার আবরণে, জগতের আড়ালে পড়েছিল নারীরা, সেই মনের ঘোমটাও খসে গেছে আজ।
সমাজ চেতনার এক প্রখর আলো আজ নারীদের উজ্জ্বল চোখে,
নারী চাই মুক্ত আকাশে উড়তে, চাইনা ডানা তার , ইচ্ছাশক্তিই তাদের রক্তে।
লিখেছেন: আবেদা সুলতানা, সম্পাদক ও প্রকাশক ,দৈনিক নবোদয় ।