বগুড়া’র ধুনটের নাংলুতে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় অবাধে সরকারী বৃক্ষ নিধন
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ০৪/০৩/২০২১ , ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ

বগুড়া জেলার ধুনট থানাধীন নিভৃত পল্লী নাংলু গ্রাম। নাংলু দক্ষিণ পাড়া ধুনট থানাধীন হলেও বাগবাড়ী থেকে খুব কাছেই। গ্রামের অজপাড়া গাঁয়ের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এ গ্রামে। বেশিরভাগ মানুষই খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষিকাজ, বর্গা আবাদ নিয়ে তারা ব্যস্ত।
গ্রামের বিত্তশালী কৃষক জনাব আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান, সাত সন্তানের জনক। জনাব মোখলেছ হাজীর অভিযোগ – তিনি সহ এই এলাকার অনেক মানুষই জিম্মি আশরাফ পিতা মৃত আবু মুছা , জাহিদুল- পিতা মৃতঃ আব্দুল জব্বার , মিরাজুল-পিতা ভুলু মিয়া , কাফি ( গ্রাম পুলিশ) পিতা-মুছা ও আন্জু -পিতা মোগ্লা মন্ডল সিন্ডিকেটের কাছে। এরা প্রত্যকেই নাংলু দক্ষিনপাড়ার বসবাসকারী। আশরাফ ও আন্জু এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী ও ভূমি দস্যু। আন্জু বালু উত্তোলন করতে পারবেন এমন জমি প্রথমে কেনেন এরপর সেখান থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন এরপর তাঁর পাশ্ববর্তী জমির চাষাবাদ বাধাগ্রস্থ হয়। পাশ্ববর্তী জমির অংশ ধীরে ধীরে তার বলে দাবি করা শুরু করেন। এভাবে জমি তিনি একসময় দখল করে নেন। জমির মূলমালিকেরা তাদের পৈতৃক ভিটা-জায়গা তাঁর প্রভাবে খুইয়ে বসেন। এমন পদ্ধতিতে তিনি হাজী মোখলেছুর রহমান এর কবলাকৃত সম্পত্তি আয়তন ১০২ শতাংশ, যাহার দাগ নং ১০৪৩, সাবেক দাগ ১৫৭, জে.এল নং ০২, খতিয়ান নং -০২ সম্পত্তি দখল করেন । আশরাফ ও আন্জুকে লাটিয়াল বাহিনী দিয়ে সাহায্য করে মিরাজুল এবং গ্রাম পুলিশ কাফি।
ইতোমধ্যে তিনি স্থানীয় তহশীলদারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেননি এবং উপজেলা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও যোগাযোগ করেছেন কিন্তু কোন সুরাহা পাননি । এহেন অবস্থায় তিনি ‘ দৈনিক মতপ্রকাশের ‘ মতো একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন । জানা যায় , এলাকার জনসাধারণ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলে না।
হাজী মোখলেছুর এর এই জমির পার্শ্বে রয়েছে সরকারী রাস্তা ও সাথেই লাগোয়া আন্জু ‘র কেনা জমি। সরকারী রাস্তার দু’পাশে জেলা পরিষদের আওতাধীন প্রোজেক্টের রাস্তারক্ষার গাছ। আনুমানিক ১,৮০,০০০/- টাকা মূল্যমানের সরকারী গাছ আন্জু , জাহিদুলের নিকট বিক্রয় করে। জাহিদুর কর্মচারী দিয়ে ও গ্রাম পুলিশের কাফি’কে সাথে নিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যায়।
জাহিদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- মূলত মেখলেছ হাজীর ছেলে তার নিকট গাছ বিক্রি করেন তিনি তা কেটে নিয়ে আসেন তার ছ’মিলে। তিনি জানতেন না এগুলো সরকারী গাছ। মোখলেছ হাজী তাকে হেয় করার জন্য তার সাথে আরোও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছেন, মোখলেছ হাজী একজন ছদ্মবেশী ষড়যন্ত্রকারী। তারা কেউই কোন রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নন, তারা ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের শিকার।