মিয়ানমারের অভ্যুত্থান: সেনাবাহিনী এখন কী করবে?
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৮/০২/২০২১ , ১:১০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: আন্তর্জাতিক,মতামত


যে ব্যক্তিটি মিয়ানমারের ‘গণতন্ত্র’র নিরীক্ষাকে নষ্ট করে বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছে, সে নিজেকে ব্যাখ্যা করার জন্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মাত্র দুবার প্রকাশ্যে উপস্থিত হয়েছে।
টেলিপ্রোম্পটারের সামনে ঘাবড়ে যাওয়া, জেনারেল মিন অং হ্লেইং তার সামরিক অভ্যুত্থান, দেশের নির্বাচিত নেতাদের আটকে রাখা, মিয়ানমারের সর্বত্র এবং সর্বস্তরের থেকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণ-বিক্ষোভ, আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় এবং নতুন করে নিষেধাজ্ঞার হুমকির বিষয়ে কোন কিছুই উল্লেখ করেননি। বরং তিনি শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বহুপুরাতন সামরিক স্লোগানগুলি পুনরাবৃত্তি করেছেন এবং গত নভেম্বরের জরিপে নির্বাচনী অনিয়মের অসমর্থিত অভিযোগ পুনরাবৃত্তি করেছেন। উত্তাল জনসাধারণকে বোঝানোর অপরিপক্ক প্রচেষ্টা কোন কাজে আসেনি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের এবং লক্ষ লক্ষ বার্মিজ যারা গত নভেম্বরে অং সান সুচি ও তার জাতীয় লীগ ফর ডেমোক্রেসির দ্বিতীয় মেয়াদে অপ্রত্যাশিতভাবে বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়েছিলেন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, এই অভ্যুত্থানটি হল সামরিক বাহিনীর দ্বারা ক্ষমতা-দখল যারা ব্যালট বাক্সে দর্শনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, এবং এটা হয়েছে এমন এক সেনাপ্রধানের দ্বারা যার এই বছরের জুলাই মাসে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার পরে তার ক্যারিয়ার অনেক কম আশাব্যঞ্জক মনে হচ্ছিল।
কিন্তু জেনারেলরা এটিকে সেভাবে দেখেন না। তারা “সুশৃঙ্খল-প্রস্ফুটিত গণতন্ত্র” এর জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্বে সশস্ত্র বাহিনীর প্রভাবশালী ভূমিকা রক্ষার জন্য বর্তমান সংবিধানকে রূপ দিতে কয়েক বছর সময় কাটিয়েছিল । যদি কোন পরিকল্পনা তাদের পছন্দ না হয় তবে তারা সর্বদা মাথা ঘামানোর অধিকারটি নিজেদের জন্য সংরক্ষণ করেন। “মিন অং হ্লেইং-এর সাথে যখনই আমার দেখা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন যে সামরিক বাহিনীর কাজ গণতন্ত্র রক্ষা করা”- কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাসরত এক প্রবীণ কূটনীতিক বলছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি কথা বলেছেন। “তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে- সশস্ত্র বাহিনীকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল কারণ দেশের গণতন্ত্রে অনিয়ম ছিল। এটি তাদের ন্যায্যতা। তারা বিশ্বাস করে তারা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেছেন। আমি মনে করি যে তারা বিশ্বাস করে বিশ্বের বাকী দেশগুলো তাদের বুঝতে পারবে। তারা কখনই ভাবেন না যে তারা যা করেছে তা একটি সামরিক অভ্যুত্থান”।
২০০৮ সালের সংবিধান যা কিনা হাতে-বাছাই করা কতগুলো প্রতিনিধিদের একটি সমাবেশ দ্বারা সামরিক শাসনের শেষ সময়কালে প্রণীত, একটি হাইব্রিড গণতন্ত্র তৈরি করেছিল, যেখানে সশস্ত্র বাহিনী হিসাবে পরিচিত ‘তাতমাদো’ এক-চতুর্থাংশ আসন নিশ্চিত করে রেখেছে সংসদের নিম্ন ও উচ্চকক্ষে এবং তিনটি শক্তিশালী মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে যাতে যে কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন তারা প্রাদেশিক প্রশাসনের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করায়ত্তে রাখতে পারে। এই সংবিধানে অং সান সু চিকে শীর্ষ পদ থেকে বাদ দেয়ার জন্য, অ-বার্মিজ স্ত্রী বা সন্তানকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পদে বাধা দিয়েছিল।
আমার স্পষ্ট মনে আছে ২০০৬ সালের শেষের দিকে সংবিধানের খসড়া প্রবর্তন শুরুর সময় তথ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে মিয়ানমার গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার জন্য কোন উদাহরণ অনুসরণ করছে এবং তিনি আমাকে বেশ আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে তারা ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তোর কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মডেল হিসাবে দেখছে। সুতরাং জেনারেলরা অং সান সু চি-এর মুক্তির মধ্য দিয়ে ২০১০ এর শেষের দিকে যখন তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করলেন, তখন তারা আশা করেছিলেন যে তারা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবেন। তারা আশা করেছিলেন যে তাদের প্রক্সি পার্টি, ইউএসডিপি, ২০১৫ সালের নির্বাচনে অনির্বাচিত সামরিক সাংসদের সাথে মিলিতভাবে, এনএলডিকে একক দলের সরকার গঠনের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম হবে কিন্তু তারা তাদের পরাজয়ের মাত্রা দেখে হতবাক হয়েছিল।
পাঁচ বছর ধরে এনএলডি প্রশাসনের কিছু ব্যর্থতার কারনে গত বছর তারা সম্পূর্ণরূপে আরও ভাল ফলাফল প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু তারা অবাক হয়ে দেখতে পায় তাদের আসনগুলির পরিমান সাত শতাংশেরও কম । মিন অং হ্লেইং তাঁর দলটির বিরূপ পারফরম্যান্সের একমাত্র সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসাবে জালিয়াতির অভিযোগকে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন।
গণতন্ত্রের সংস্করণ রক্ষার নামে এখন সশস্ত্র বাহিনী যে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপটি কী হতে পারে?
অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা মোকাবেলা করা তাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। মিয়ানমারে সবার মনের মধ্যে এটা ঘুরছে যে তারা অতীতের মত প্রচুর প্রতিবাদকারীকে হত্যা না করে প্রতিবাদ দমন করতে পারে কিনা।
তবে জান্তার উচিত রাজনৈতিক বৈধতার পথে ফিরে যাওয়া। ব্যালট বাক্সে এনএলডির অবিচ্ছিন্ন জনপ্রিয়তার সমস্যা সমাধানের জন্য তারা এক বছরের জরুরি অবস্থা দিয়েছে, যদিও এটি আরও বাড়ানো হতে পারে।
থাই মডেল?
প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে অনুসরণ করার একটি স্পষ্ট ঝোঁক বার্মিজ জেনারেলদের রয়েছে। সেদেশে ২০১৪ সালের অভ্যুত্থান কারীরা একটি জনপ্রিয় দলকে কীভাবে থামাতে হবে সেই সমস্যাটি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এক্ষেত্রে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং তার বোন ইংলাকের নেতৃত্বাধীন দল ‘ফেউ থাই’, যারা ২০০১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল।
একটি নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করা ছাড়াও থাইল্যান্ডের জান্তা সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাটি সাবধানতার সাথে পুনর্নির্মাণ করেছিল, যাতে ‘ফেইও থাই’ কম আসনে জিততে পারে তা নিশ্চিত হয়। মায়ানমারের জান্তারও একই কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
থাই জান্তা নির্বাচন কমিশনের সদস্যদেরও নিয়োগ দিয়েছিল এবং সাংবিধানিক আদালতের সদস্যপদে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। নির্বাচনী বিধিগুলি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যেগুলো সেনাবাহিনীর প্রক্সি পার্টির পক্ষে ছিল, এবং আদালতের রায় সর্বদা রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকার বিরোধী পক্ষগুলির জন্য প্রতিকূল ভূমিকা পালন করে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে অং সান সু চি এবং নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টের বিরুদ্ধে হাস্যকর তুচ্ছ অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের করেছে। সম্ভবত এনএলডি সদর দফতর এবং সারাদেশে নির্বাচন কমিশন অফিসগুলিতে রাতে অভিযানগুলির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী এমন নথির সন্ধানে করছে যা এনএলডি বা তার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ভবিষ্যতের নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা রাখার লক্ষ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরও নির্ভরযোগ্য নির্বাচনী জালিয়াতির মামলা গঠনে সহায়তা করতে পারে।
তবে থাইল্যান্ডে দেশটি সত্যিকার অর্থেই বিভক্ত ছিল, জনসংখ্যার বিশাল অংশ থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধী ছিল। সামরিক বাহিনী সমন্বিত পিপিআরপি আসলে অন্য দলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল যদিও কম আসন ছিল, এবং নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় একটি ক্ষমতাসীন জোটকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদেশগুলোর ‘প্রভাব বিস্তারে অনীহা’
মিয়ানমারে এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের ক্রোধের অসাধারণ মাত্রা এটাই ইঙ্গিত করে যে কোনও নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষের কাছাকাছি, ইউএসডিপি বা ‘তাতমাদো’ দ্বারা সমর্থিত যে কোনও দলই গত নভেম্বরের চেয়েও খারাপ করতে পারে। এর বিকল্পটি হচ্ছে বহু বছরের সামরিক শাসন বজায় রাখা। জেনারেলরা আশা করছেন যে বয়স এবং ক্ষমতা থেকে বাদ পড়ার ফলে ৭৫ বছর বয়সী অং সান সু চি এবং এনএলডি রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিবে।
বিগত দশ বছরে বিশাল উন্নতির পরে মিয়ানমারের জন্য এগুলি অত্যন্ত বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
“আমি জানি এটি বিশ্বাস করা শক্ত, তবে সশস্ত্র বাহিনী সত্যই মনে করে যে তারা একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে কাজ করছে,” এক প্রবীণ কূটনীতিক বলছিলেন। “বাহিনীকে অবশ্যই বলা হবে যে তারা যদি এই পদক্ষেপ না নেয় তবে তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশকে বোঝাতে পারবে না। গত দশকে তারা যে ধরনের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা নিয়ে এসেছিল, তারা পাবে না। এটি সশস্ত্র বাহিনীর কাছে প্রকাশ করতে হবে এমন উপায়ে যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝির উদ্রেক না ঘটে। ”
ওয়াশিংটনে জো বাইডেনের প্রশাসন ইতিমধ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলি ঘোষণা করেছে, এটি বলেছে, সেনা এবং এর বিস্তৃত ব্যবসায়িক স্বার্থ এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু -তবে ‘তাতমাদো’তে এসবের প্রভাব সীমিত থাকবে।
রাজনৈতিক উত্থানের পরে মিয়ানমারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রদূত ডেরেক মিচেল বলেছেন, “আমাদের খুব একটা লাভ নেই। “মূল বিষয় হচ্ছে আমাদের মিত্ররা। এটি একটি খুব কঠিন পথ, কারণ আমাদের কিছু মিত্র – জাপান, ভারত, কোরিয়া – এর প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। তারা সেখানে চীনা প্রভাব বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন হবে। আমাদের সাথে মিত্রদের কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং বাস্তব ও ধারাবাহিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
“তবে আমরা পুরাতন স্টাইলের নিষেধাজ্ঞাগুলিতে ফিরে যেতে চাই না। অর্থ, অস্ত্র, প্রতিপত্তি – যা সামরিক বাহিনী খুব দাম দেয় তার উপরে নিষেধাজ্ঞাগুলি খুব সতর্কতার সাথে তৈরি করা দরকার। যে বিষয়টি আমাদের মিত্ররা সবচেয়ে বেশি ভয় করে তা হল চীনের মতো বিশাল প্রতিবেশী দেশটির উপর মায়ানমার এর পরিপূর্ণ নির্ভরতা । আমাদের দেখাতে হবে যে আর্মি কে তার মূল্য দিতে হবে এবং বোঝাতে হবে যে যদি আপনি নিজের সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য চান, তবে আপনি এভাবে আচরণ করতে পারেন না। সেনাবাহিনীকে অবশ্যই এটি বুঝতে হবে।
“কিন্তু তারা কি বুঝবে ?
কোভিড –১৯ মহামারী দ্বারা ইতোমধ্যে মিয়ানমারের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ২০১৭ সালে ‘তাতমাডো’ দ্বারা রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের পরে বৈদেশিক বিনিয়োগ পিছিয়ে ফেলেছিল।
নিষেধাজ্ঞাগুলির সীমাবদ্ধ প্রভাব থাকতে পারে, তবে বিদেশী নামীদামী সংস্থাগুলি একটি অজনপ্রিয় সামরিক শাসনের অধীনে অপারেটিং ক্ষতি এড়াতে যেভাবেই হোক না কেন চলে যেতে পারে। এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে জান্তার দ্বারা, বিক্ষোভকারী সংগঠনকে বাধা দেওয়ার জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বন্ধ করার প্রচেষ্টা এমন একটি অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে যেখানে ছোট সংস্থাগুলি এখন তাদের পণ্য বিক্রয় করার জন্য ফেসবুকের ব্যাপক ব্যবহার করে । অবশ্য গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কট জেনারেলদের পুনরায় নতুন করে চিন্তা করতে প্ররোচিত করতে পারে।
তবে ক্ষমতা ভাগাভাগি করার ব্যবস্থাটি যা গত দশ বছরে রূপান্তর ঘটতে দিয়েছিল তা ধ্বংস করার কারনে, সেনারা কীভাবে অভ্যুত্থান থেকে পিছনে ফিরে যাবে তা স্পষ্ট নয়, এমনকি তারা রাজি থাকলেও এটা খুব কঠিন। কারন, অং সান সু চি, যিনি জেনারেলদের বিরুদ্ধে ২০ বছর ধরে গৃহবন্দি ছিলেন, তার পক্ষে তাদেরকে ছাড় দেওয়া খুব কঠিন যেখানে তারা পুনরায় তাকে পূর্বের মতই পদচ্যুত করেছে। তাকে মুক্তি দিলে মানুষ অভ্যুত্থানের প্রতি আরও বৃহত্তর প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ হবে। খুব সম্ভবত মিন অং হ্লেইং ক্ষমতার হাল ধরবেন এবং মায়ানমারে সামরিক দুর্দশার দীর্ঘ ট্র্যাজেডিতে তাঁর নিজের কলঙ্কজনক অধ্যায়টি যুক্ত করবেন।
লিখেছেনঃ প্রকৌশলী মোঃ জাকারিয়া প্রামানিক