আজ: ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, দুপুর ১:৩৩
সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক মিয়ানমার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ৩শ আইন প্রণেতার বিবৃতি

মিয়ানমার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ৩শ আইন প্রণেতার বিবৃতি


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ০৭/০২/২০২১ , ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: আন্তর্জাতিক


উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। গণতান্ত্রিক সরকারকে অভুত্থ্যানের মাধ্যমে সরিয়ে ক্ষমতা নেয়া সামরিক সরকারের সমালোচনা করায় ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর পরও থেমে নেই প্রতিবাদ।
এবার সামরিক সরকারকে প্রত্যাখানের ডাক দিয়েছে দেশটির আইন প্রণেতারা। স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে অন্তত ৩শ আইন প্রণেতা এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে সামরিক সরকারকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন তারা।

আজ রবিবার খবর আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আইনপ্রণেতারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। তবে দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ অচল করে দেওয়ায় আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ( সোমবার) দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হলে সুচি এবং অন্য নেতাদের আটক করা হয়। সোমবারের পর থেকে থেকে সুচি গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান বহু মানুষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছে। ফেসবুকে মিয়ানমারে তথ্য ও সংবাদের প্রাথমিক উৎস। এর তিন দিন পর ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেয়া হয় এই সামাজিক মাধ্যমটিকে ব্লক করার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর, হাজার হাজার ব্যবহারকারী টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে সরব হয়। তারা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধাচারণ করে হ্যাশট্যাগ চালু করে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা নাগাদ আর কেউ এ দুটি প্লাটফর্মেও ঢুকতে পারছিল না।
এ নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না। কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মন্ত্রণালয়ের একটি দলিল তারা দেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে এই সামাজিক মাধ্যম দুটোকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে দিতে’।
এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। টুইটারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কথা বলার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ফেসবুক মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, ‘মানুষের সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে, যাতে তারা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে।’ ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
অরাজকতা মোকাবিলায় রাজপথে কঠোর অবস্থানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এদিকে সামরিক সরকারকে গণতন্ত্রের ওপর শ্রদ্ধা দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

Comments

comments