যুক্তরাষ্ট্রে গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ০১/০২/২০২১ , ১০:০০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: আন্তর্জাতিক


ক্তরাষ্ট্রে গণপরিবহনে চলাচলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ আদেশ কার্যকর হচ্ছে।
এর আগে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এ আদেশ জারি করে।
আদেশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য সব গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এ আদেশ সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১:৫৯ থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবং নতুন সংক্রমণযোগ্য রূপে ভাইরাসটি প্রকাশ পাওয়ায়, কোনো কোনোওদেশ ভ্রমণের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। রবিবার থেকে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে। এই নতুন নীতির ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারীরা ফ্রান্সে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ থাকার প্রমাণ দিতে হবে।
অনেক ইউরোপীয়, আফ্রিকান এবং অন্যান্য দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের জার্মানিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, এসওয়াতিনি, আয়ারল্যান্ড, লেসোথো, পর্তুগাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে জার্মান নাগরিক যারা ওই দেশগুলো থেকে আসবেন, তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হলে তাদের স্বদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
মিশিগান ইউনিভার্সিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য থেকে উদ্ভূত নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে সাউথ ক্যারোলাইনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেইনের ভাইরাসটিতে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪০। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার ৩৮১ জনের।