আজ: ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৫:৫৯
সর্বশেষ সংবাদ
জেলা সংবাদ বেনাপোল বন্দরে খোলা মাঠে এসিড, বিপর্যস্ত পরিবেশ

বেনাপোল বন্দরে খোলা মাঠে এসিড, বিপর্যস্ত পরিবেশ


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৭/১১/২০২০ , ২:৪৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ


দেশের সর্ববৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল পোর্ট এলাকার স্থানীয় বড় আচড়াগ্রামের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালের এসিড সেডের পশ্চিম পাশে বসবাসরত ৬৫ টি পরিবারের বসবাস আজ দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই ভারি ট্রাক এবং খোলা মাঠে রাখা হচ্ছে এসিড। এসিডের বিষক্রিয়ায় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের বসবাস এবং ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া। সন্ধ্যা নামলেই পড়ার টেবিলে শিক্ষার্থীদের চোখে ঝরছে পানি।

এলাকার বাড়ি-ঘর ও নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে এ এসিডের বিষক্রিয়ায়। বন্দরে লোহা ও লৌহজাত পণ্য সামগ্রী লোড-আনলোডের সময় কম্পন সৃষ্টি হয়ে বসবাসরত বাড়ি-ঘরের। বৃষ্টির সময় এ এসিডের পানি ও মলমূত্র একত্রে মিশে এলাকায় প্রবেশ করায় গৃহপালিত পশু পাখি মারা যাচ্ছে অহরহ।

এদিকে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সীমানা সংলগ্ন প্রাচীর নির্মাণ করায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে বসবাসকারীরা।

বড় আঁচড়া গ্রামের বদরুল আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি বন্দি অবস্থায়। খোলা মাঠে বন্দর কর্তৃপক্ষ এসিড রাখায় এ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি কয়েকবার এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানালেও তারা কোন জরুরি পদক্ষেপ নেয়নি।

অপর বসবাসকারী মহিদুল ইসলাম জানান, আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি নানা সমস্যার মধ্যে, একদিকে এসিডের বিষক্রিয়া অপর দিকে এখান থেকে কোন রাস্তা না থাকায় আমরা যেন বন্দি কারাগারে। একজন লোক মারা গেলেও লাশ বের করার রাস্তাটাও সংকীর্ণ।

কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আল-আমিন ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র তন্ময় জানান, আমরা বাড়ি-ঘরে ঠিকমত বসতে পারি না। পড়ার টেবিলে বসলেই দু-চোখ জালা করে এবং পানি ঝরে এসিডের বিষ ক্রিয়ায়।:

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সিনিয়র সভাপতি আমিনুল ইসলাম (আনু হাজী) জানান এই এলাকাটা যদি বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করে নেন তবে এই ৬৫ টি পরিবারের দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হবে।বাড়বে বন্দরের সৌন্দর্যও। তাছাড়া বন্দরে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, এলাকাবাসীর সমস্যা ও অভিযোগ আমরা ইতিমধ্যে আবেদনের মাধ্যমে পেয়েছি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Comments

comments