আজ: ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৩:৩১
সর্বশেষ সংবাদ
অপরাধ, আইন ও বিচার অব্যাহতি পেলেন বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশি

অব্যাহতি পেলেন বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশি


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৫/১১/২০২০ , ৯:১৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অপরাধ,আইন ও বিচার


রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ হওয়ার অভিযোগ ওঠা বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বিদেশে কর্মরত অবস্থায় সে দেশে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। করোনা মহামারিতে তাদের কারাদণ্ড মওকুফ করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় সে দেশের সরকার। দেশে এসেও ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ থাকায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্বিত হয়। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়।
রোববার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারার তাদের দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন।
আদালতে তুরাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদেশফেরত আরও ১৯৭ বাংলাদেশিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারার দায় হতে অব্যাহতি দানের আবেদন রয়েছে। ধার্য তারিখে আবেদনগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
গত ২৭ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সফিউল্লাহ ২১৯ জন বিদেশফেরত আসামির অব্যাহতি দানের আবেদনসহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি গ্রহণের জন্য রোববার (১৫ নভেম্বর) ধার্য তারিখ ছিল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য মতে, বর্ণিত প্রত্যেকের বাড়ি ভিন্ন ভিন্ন জেলা, থানা এলাকায় অবস্থিত। আসামিরা বিদেশে কারাগারে ছিল মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তকালে অনেক আসামির ঠিকানা তারতম্য পাওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন পন্থায় তাদের সঠিক ঠিকানা সংগ্রহ করে বারবার বেতার বার্তা ও ই/এস প্রেরণ করে যাচাই করতে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে আসামিরা কোয়ারেন্টাইনে থাকায় তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কি-না, সন্দেহের অবকাশ থাকায় তাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫ ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব হয়। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধে জড়িত থাকার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় দায় হতে অব্যাহতি দানের আবেদনসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

Comments

comments