আজ: ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ১১:১২
সর্বশেষ সংবাদ
খেলাধূলা আবাহনীর সাপোর্টে খেলি না নিজের যোগ্যতায় খেলি

আবাহনীর সাপোর্টে খেলি না নিজের যোগ্যতায় খেলি


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৫/১১/২০২০ , ৯:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: খেলাধূলা


নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটা গোল বাংলাদেশ ফুটবল দলের পারফরম্যান্সের ছবিটাই বদলে দিয়েছে। ষ্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন ম্যাচের ১১ মিনিটে গোল করেছেন। স্টেডিয়ামের দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছেন। গোল করে মুখ খুলেছেন জীবন।

তাঁর ভেতরে অভিমান লুকিয়ে আছে। কখনো সেটা প্রকাশ করেননি। জীবন কঠিন গোল করেছেন সেদিন। যিনি সহজ সহজ গোল মিস করে সমালোচনার খোরাক যোগাতেন, সেই জীবন অবিশ্বাস্য পজিশন হতে গোল করে দর্শক হৃদয়ে দারুণ একটা আস্থা তুলে নিয়েছেন। জীবন আক্ষেপ নিয়ে বললেন,‘আমি সহজ সুযোগ নষ্ট করতে করতে আমার প্রতি অনেকেরই একটা বাজে ধারণা তৈরি হয়েছে। মনে করে আমি বোধহয় গোল করতে পারি না। আসলে আমার ভাগ্য খারাপ, গোল মিস হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করি ঠিকই কিন্তু ওই যে বললাম ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়।’

গোল না করতে পারার কারণে বাংলাদেশ অনেক জয়ের সুযোগ হতে বঞ্চিত হয়েছে। তারপরও জীবন জাতীয় দলে নিয়মিত সুযোগ পেয়েছেন। অন্য কাউকে সুযোগ দেয়া হয়নি। জীবন বললেন,‘অনেকেই মনে করে আমি আবাহনীর সাপোর্টে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই। কথাটা ঠিক না। কোচ আমাকে ডাকে। আমি আমার যোগ্যতায় ডাক পাই। এখন তো আর রূপু দা নেই। তাহলে কিভাবে ডাক পেলাম।’

জীবন খেয়াল করে দেখেছেন তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয়। সেগুলো দেখে মন খারাপ হয় তার। জীবন বললেন,‘গোল মিস হয় বলে আমাকে বলা হয় আমি আবাহনীর জোরে জাতীয় দলে খেলি। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাকে এসব কথা বলা হয়। খুবই খারাপ ভাষায় আমাকে বলা হয়, গালমন্দ করা হয়। মাঝে মাঝে মন হয় খেলবই না। আমি নেপালের বিপক্ষে গোল করার পর আমার মায়ের (রাশিদা বেগম) সঙ্গে কথা হয়েছে। মা আমাকে বলে তুই তো যেতে (জাতীয় দলে) চাস না। মানুষের কথা শুনে লাভ নেই। খেলবি নিজের যোগ্যতায়, আল্লাহর উপর ভরসা রেখে খেলবি।’

ভুটানের বিপক্ষেও কঠিন গোল করেছিলেন জীবন। নেপালের বিপক্ষে একটি তার অন্যতম সেরা গোল। মাঠে নামার আগে নেপালের জালে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। জীবন বললেন,‘বলটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ান টাচে গোল করেছি। অথচ কতো সহজ সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। সেটাই এখন মনে হয়।’ জীবন বললেন,‘নেপাল কঠিন প্রতিপক্ষ না। যদি হতো ৩০ পারসেন্ট চান্স হতো। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ হবে ফিফটি ফিফটি। গোল করতে পারবো না কেন।’

আট মাস পর আবার ফুটবল খেলতে নেমেছে খেলোয়াড়রা। জীবন ভয়ে ছিলেন। বললেন,‘আমি শুধু আল্লাহে বলছিলাম গোল করার সুযোগ করে দিয়ো। যাক গোল হয়েছে বাংলাদেশও ম্যাচ জিতেছে। এই জয় আমাদের মধ্যে আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’

Comments

comments