আজ: ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৫:৩৮
সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক ৩ কেজি সোনার সাজে মা আনন্দময়ী

৩ কেজি সোনার সাজে মা আনন্দময়ী


পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৫/১১/২০২০ , ১২:৪২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: আন্তর্জাতিক


কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহুদূর। এই বিশ্বাসে ভর করেই বছরের পর বছর দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন ভঅরতের পশ্চিমবাংলার হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমায়ের মন্দিরে। কালীপুজোর দিন সোনার অলঙ্কারে সেজে ওঠেন মা। পরানো হয় ৩ কেজি ওজনের সোনার গয়না।
মনোস্কামনা জানাতে ভোর থেকেই মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা হুগলি নদীতে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এবার করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনেই মা আনন্দময়ীর কাছে পুজো দিতে আসছেন ভক্তরা।
কথিত আছে, তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে আন্দুলরাজ শৈলেন্দ্রনাথ মিত্রের দান করা জমিতে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। কষ্টি পাথরে মায়ের মূর্তি নির্মাণ করেন কাটোয়ার গোকুল ভাস্কর। মূর্তি নির্মাণ নিয়েও লোকমুখে নানা প্রচার রয়েছে।
শোনা যায়, মূর্তি নির্মাণের সময় শিল্পীর চোখে পাথরের কুচি ঢুকে গিয়েছিল। সেই সময় তিনি চোখে দেখতে না পাওয়ায় মূর্তি নির্মাণের কাজ কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই এক বালিকা এসে তাঁকে জানায়, তোমার চোখে কিছু হয়নি। তা শোনার পর ওই শিল্পী নির্ভয়ে চোখ খোলেন এবং সামনে যে বালিকাকে দেখেছিলেন, তিনিই মা আনন্দময়ী। পরবর্তী সময়ে বাংলার ১৩২৭ সালের ২৭ বৈশাখ শুক্লা ত্রয়োদশ তিথিতে উন্মোচিত হয় মায়ের মন্দির। তারপর থেকে মায়ের অলৌকিক ঘটনার কথা যত ছড়িয়েছে, তত ভিড় বেড়েছে ভক্তদের। বিশেষ করে কালীপুজোর দিনে মায়ের আশীর্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
যদিও এবারে ভক্তদের আবেগে কিছুটা হলেও বাধ সেজেছে করোনা সংক্রমণ। এবার এই আবেগে ধাক্কা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। সেকারণে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উলুবেড়িয়া শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি কমিটি।
কমিটির কোষাধ্যক্ষ গৌতম বসু জানান, মাস্ক ছাড়া মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্দিরের ভিতরেও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে। তবে ভক্তদের মন্দিরের মূল অংশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অঞ্জলি দেওয়ায় বন্ধ। মন্দির কমিটির এ. সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভক্তরা।

Comments

comments