মাঠে ঢুকতে পারলেন না নতুন ম্যানেজার
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৪/১১/২০২০ , ১:০৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: খেলাধূলা


ফুটবলের পরিচিত মুখ আমের খান। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ফুটবলে কাজ করছেন তিনি। গত এক যুগ ধরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবল দল গঠনের কাজ করে আসছেন তিনি। এক সময় ফুটবল খেলতেন। তাই তৃৃণমূলের ফুটবলারদের চেনা তার জন্য খুব সহজ।
ক্লাব ফুটবলে কাজ করলেও আমের খানকে ফেডারেশনের কাজে খুব একটা সম্পৃক্ত হতে দেখা যেত না। এবার কাজী সালাহউদ্দিনের বিপক্ষে প্যানেল হতে বাফুফেতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আমের খান। বাফুফে তাকে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার মনোনীত করেছে। আমন্ত্রণ দেওয়া হলে তিনি দেশের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেননি। হঠাত্ করেই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দুইটিতে ম্যানেজার থাকবেন এবং সেই সঙ্গে আগামী ৪ ডিসেম্বর দোহায় কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের যে ম্যাচটি রয়েছে সেটির ম্যানেজার হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। গতকাল প্রথম ম্যাচেই আমের মাঠে ঢুকতে পারেননি। কোভিড সনদ না থাকায় নতুন ম্যানেজার আমের খান মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আমের।
ফুটবলে ব্রাদার্সকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন আমের খান। ৮৯ হতে ২০০২ পর্যন্ত ফুটবল খেলেছেন আমের খান। ২০০৩-২০০৪ মৌসুমে প্রথম বার দায়িত্ব হাতে নেন ব্রাদার্সের। সেবারই প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাদার্স। ২০০৫ মৌসুমেও ব্রাদার্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০৬ সালে তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হলে হ্যাট্রিক হতো কিন্তু সে বছরই পেশাদার লিগ শুরু করে বাফুফে।
ব্রাদার্সের হ্যাট্রিক শিরোপা জয় করার সুযোগ হয়নি। যে ইতিহাসটি রয়েছে বড় দুই ক্লাবের। ৮৩, ৮৪, ৮৫ সালে আবাহনী এবং ৮৬, ৮৭, ৮৮ সালে মোহামেডান প্রথম বিভাগ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ব্রাদার্স সেই রেকর্ডে হয়তো নাম লেখাতে পারত।
ব্রাদার্সের দায়িত্ব নিয়ে আমের খান স্বাধীনতা কাপ ট্রফি পেয়েছেন, আসামের বরদুলই কাপ পেয়েছেন। ব্রাদার্স জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমেরের নেতৃত্বে।
জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন আবাহনীর ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু। বছরের পর বছর তার হাতে ছিল দায়িত্ব। এই নিয়ে অনেক বিতর্ক ফুটবল অঙ্গনে।
সম্পর্ক রাখতে পারলে জাতীয় দলে ঢোকা যায়। ফুটবলারদের মধ্যে একটা একটা প্রতিযোগিতা ছিল যোগ্যতা ছাড়া কীভাবে জাতীয় দলে ঢোকা যায়। এই সব বিতর্ক দেশের ফুটবলকে ক্ষতি করেছে।
আমের খান নতুন দায়িত্ব পেয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কোনো বিতর্কের জন্ম দিতে চান না তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঝে মধ্যে খেলোয়াড় সিলেকশন নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কারণ কোচ টিম সিলেকশন করবেন। এটা আমার কাজ না।’