দশ মাস পর মাঠে ফিরছে জাতীয় ফুটবল দল
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ১৩/১১/২০২০ , ১:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: খেলাধূলা


করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১০ মাস প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের বাইরে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। তবে আজই সে আক্ষেপ ঘুচাচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দলটি। তার আগে বৃহস্পতিবার অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া হুঙ্কার দিয়েছেন, নেপালের বিপক্ষে গত তিন হারের বদলা নেওয়ার।
২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা এখনও দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের হারে শেষ হয় বাংলাদেশের সাফের মিশন। দুই বছর পর আবারো একই ভেন্যুতে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে তাই প্রস্তুতি সেরে নিতে নেপাল বধের লক্ষ্য জামাল ভুঁইয়াদের। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খেলার জন্য ফিট হয়ে ওঠা। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই আমি জিততে চাই। সবাই ম্যাচ জিততে চায়। আমরা নেপালের কাছে তিন ম্যাচ হেরেছি। আমার মাথায় সেই প্রতিশোধের বিষয়টা আছে এবং অবশ্যই আমি ম্যাচটা জিততে চাই।’
শুক্রবার ম্যাচের জন্য বৃহস্পতিবার ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করছেন কোচ জেমি ডে। সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ গোলরক্ষক রানার। রাখা হয়নি রায়হান, মানিক, ফাহিম ও আব্দুল্লাহকেও। নতুনদের পরীক্ষা করতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত জেমির। ইনজুরিতে পড়ে খেলতে পারবেন না মামুনুল ও আরিফ। দল নিয়ে কোচ বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ভাল খেলা। নেপাল ভাল দল। ওদের কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। সেটা নিয়ে ভাবতে চাইনা আমরা। আমাদের মাঠে সেরাটা দিতে হবে। এ ম্যাচের দলের জন্য রানাসহ কয়েকজন বাদ পড়েছে। অন্যদের পরীক্ষা করতেই এমন করা হয়েছে। কাতার ম্যাচের আগে আমি একটা ভাল দল তৈরি করতে চাই।’
এদিকে ডে আবার বলেছেন নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়ার কথা, ‘নেপাল ম্যাচে আমরা আক্রমণাত্মক ছক সাজাব না। কেননা আমাদের কাতার ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ৪-৪-২ বা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পারি। কৌশল সাজাব কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি সামনে রেখে। আমরা জিততে চাই, কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তিত নই।’
তিনি আরও বলেন,‘অবশ্যই নেপাল খুবই ভালো দল। তাদের কিছু খুবই ভালো এবং আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আছে। তাদেরকে হারানো কঠিন হবে। কিন্তু আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ফিটনেসের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। খেলা, জয় পাওয়া এবং ফুটবলকে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরানোর জন্যও আমরা মুখিয়ে আছি।’
লম্বা সময় পর শুক্রবার ঘরের মাঠে বসে প্রিয় তারকাদের খেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। এজন্য অবশ্য কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে বাফুফে। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘দর্শকদেরকে মাস্ক পরে মাঠে আসতে হবে। গ্যালারিতে প্রবেশের আগে তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। গ্যালারিতে ফিফা ও এএফসির নির্দেশনা মেনে বসার জায়গা আমরা মার্কিং করে রেখেছি, দুরত্ব মেনে তাদেরকে সেখানেই বসতে হবে। কেউ, এমনকি বাফুফের কোনো অফিসিয়ালও হুট করে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই সময়ে ম্যাচ আয়োজন এবং দর্শক ফেরানো চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা নিয়ম মেনে সবকিছু আয়োজন করছি। ফুটবলপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন নিয়মটা মানে। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ আমরা নিব কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নে দর্শকদের সহযোগিতা চাই আমরা।’