ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকার করলে কি হবে?
পোস্ট করেছেন: অনলাইন ডেক্স | প্রকাশিত হয়েছে: ০৭/১১/২০২০ , ৯:৩৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: আন্তর্জাতিক


ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধভাবে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচন থামাতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিছু মার্কিনি সবচেয়ে বেশি যে ভয় করছেন সেটা হলো, ট্রাম্প হয়তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করে দেবেন।
যদি ট্রাম্প হেরেই যান এবং হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন তাহলে পরিস্থিতি কী হবে? এখন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে।
যুক্তরাষ্ট্রে এর আগের নির্বাচনগুলোতে এমন প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কারণ তখন নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন উভয় পক্ষই তা মেনে নিয়েছে।
কিন্তু এখন সেই প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় তার উত্তর খুঁজতে বসেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্পকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
এদিকে জো বাইডেন আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তার নিজস্ব আইনজীবীদের প্রস্তুত করেছেন। তারা ট্রাম্পের যে কোনো আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন।
ট্রাম্প যদি ক্ষমতা ছাড়তে না চান তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্নে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক পল কুইর্ক বলেন, ‘এটি আইন প্রয়োগকারীদের একটি বিশ্রী অবস্থানে ফেলে দেবে। একপর্যায়ে প্রশ্ন উঠবে- আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কার আদেশ পালন করে? কারণ শেষ পর্যন্ত এটি শক্তি প্রয়োগের বিষয় হয়ে উঠবে।’
কোনো প্রেসিডেন্ট যদি নির্বাচনে হেরে যান এবং তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন তাহলে কি করণীয় সে বিষয়েও মার্কিন সংবিধানে কিছু নেই।
সুতরাং, ট্রাম্পকে গ্রেফতার জন্য এফবিআই বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কি করবে তা বলা কঠিন।
তবে বাইডেনের প্রচারদলের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বাটস বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সেই ক্ষমতা রয়েছে যাতে হোয়াইট হাউস থেকে অবৈধ প্রবেশকারীদের নিরাপদে বের করে দিতে পারে।’ তিনি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
নিউ হাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জোশুয়া স্যান্ডম্যান বলেন, ট্রাম্প যদি পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন তাহলে এটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধিকার নষ্ট করবে।
তিনি জানান, কংগ্রেশনাল এবং রাজনৈতিক চাপ ট্রাম্পকে দ্রুত পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত ২৬৪টি ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। জয়ের জন্য তার প্রয়োজন মাত্র ৬ ভোট। আর ট্রাম্প ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন ২১৪টি। ফলে সব মিলিয়ে জয়ের বন্দরের কাছে রয়েছেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন।