ডাকসু ভিপি নুরুর পক্ষে শিবিরসহ ১৪ সংগঠনের বিবৃতি
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ৩০/০৯/২০১৯ , ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি,শিক্ষাঙ্গন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ডাকসু। তবে ভিপি নুর এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয়ার দুদিন পর এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্র শিবির, ইশা আন্দোলনসহ ১৪ সাম্প্রদায়িক সংগঠন। তারা ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে মত দিয়ে ভিপির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
ইসলামী ও সমমনা ১৪টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা যৌথ বিবৃৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে ডাকসু ঐতিহ্যবাহী নাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডাকসুর ঐতিহ্যে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের মতো এখতিয়ার বহির্ভূত ও অসাংবিধানিক দাবি জানিয়েছে ডাকসু। ছাত্র রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ও মূলধারার ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডে ছাত্রসমাজ হতবাক ও বিক্ষুব্ধ। ডাকসুর এ ঘোষণা অগণতান্ত্রিক ও ডাকসুর নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক। একই সাথে এ দাবি সুস্পষ্টভাবে ডাকসুর এখতিয়ার বহির্ভূত ও অসাংবিধানিক।
সংগঠনগুলো ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে এর আগে নির্বাচন বয়কট করলেও এই বিবৃতিতে নুরকে ডাকসুর ভিপি উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়, ভিপিকে পাশ কাটিয়ে গৃহীত হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। ভিপি নুরুল হক নুরও অকপটে এ কথা স্বীকার করেছেন। তবে এ সিদ্ধান্ত হওয়ায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা হচ্ছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিতই হয়েছিল মূলত এ অঞ্চলে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ধর্মবিরোধী তথা মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড এ দেশের কৃষ্টি, সভ্যতা, তাহজিব তামাদ্দুনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তাচেতনায় আঘাতের সামিল।
নেতৃবৃন্দ ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ডাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক ছাত্রসংগঠন থেকে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় লাভ করার ইতিহাস রয়েছে। এ ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রসমাজের বেশির ভাগ অংশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি ক্যাম্পাসে সংগঠনগুলোর নিয়মতান্ত্রিক এবং গঠনমূলক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্র সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এ সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ছাত্রসমাজের স্বার্থরক্ষার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।
বিবৃতি প্রদানকারী ছাত্রনেতারা হচ্ছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন, ইসলামী ছাত্র মজলিস সভাপতি মো: মনসুরুল আলম মনসুর, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত সভাপতি তোফায়েল গাজালি, ইসলামী ছাত্রসমাজ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ইসলামী ছাত্রসমাজ (একাংশ) সভাপতি মো: নুরুজ্জামান, মুসলিম ছাত্রলীগ সভাপতি খান আসাদ, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রুবেল, ছাত্র কল্যাণ পার্টি সভাপতি শেখ তামিম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি সৈয়দ মো: মহসিন, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন (ইরান) সভাপতি মো: মিলন, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন (মেহেদী) সভাপতি মো: কামরুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ।