পানিতে বিলীন সড়ক, লাখো মানুষের ভরসা বাঁশের ভেলা
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৭/০৭/২০১৯ , ৯:৪৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ

মোঃ ইলিয়াস আলী , নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভারী বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প রাস্তা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। প্লাস্টিকের ড্রাম ও বাঁশের তৈরি ভেলায় করে ১০টার বিনিময়ে খাল পার হতে হচ্ছে সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মানুষের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, লাহিড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লাহিড়ী ফাজিল মাদরাসাসহ আশপাশের প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরাতন ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুমের মাস খানেক আগে। নির্মানাধীন সেতুর পাশে পথচারীদের জন্য নির্মাণ করা বিকল্প সড়কটি বর্ষারর শুরুতেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় পথচারীরা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সঙ্গে করে ঝুঁকির নিয়ে ভেলা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন খাল।
আখানগর থেকে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ভেলায় চড়ে সকাল থেকে পারাপার করতে ২৫ টাকা দিয়েছি। বাড়ি ফেরার সময় ৫ টাকা আরও দিতে হবে।
৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী মিতু আক্তার বলেন, বাড়ি থেকে স্কুল ও প্রাইভেটে যেতে নিষেধ করেছে। ভেলা দিয়ে পার হতে ভয় লাগে। কিন্তু প্রাইভেটে না গেলে পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়বো।
উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের শুরু থেকে ঠিদাকার, স্থানীয় প্রকৌশলী ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি। বর্ষার মৌসুমে এমন দুর্ভোগের শুরু হবে এটা আমি আগেই ধারণা করছিলাম। আইন শৃংখলা সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী রামবাবুর মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম জানান, পানি একটু কমলেই বিকল্প রাস্তাটি পুনরায় তৈরি করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। রাস্তা পারাপারে স্থানীয় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে ভেলা তৈরিকরে পথচারীদের পারাপার করতে সহায়তা করছে।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৪১ টাকা ব্যয়ে ছোট সিংগিয়া খালের ওপর ১ হাজার ৩৬ মিটার চেইনেজে ৫৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। পুরাতন লোহার ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে শেষ হবার কথা রয়েছে।