জেলা সংবাদ
অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে নির্বাচনী খরচ সামাল দিচ্ছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিরিন আক্তার
অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে নির্বাচনী খরচ সামাল দিচ্ছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিরিন আক্তার
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৪/০৩/২০১৯ , ১:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারী ভিপি ল্যান্ড, শশ্বান ঘাট ও কবরের জমি বিক্রি করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী খরচ সামাল দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ৷
প্রতারণার শিকার শাহানা আক্তার নামে এক মহিলা অভিযুক্ত শিরিন আক্তারের কাছ থেকে জমি কিনে মঙ্গলবার সকালে ওই জমিতে ঘর তৈরী করতে গেলে উপজেলা ভূমি অফিসের বাঁধার মুখে তিনি তা করতে পারেননি। আর ক্রয় করা জমিতে ঘর করতে না পেরে শাহেনা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল শ্রীমঙ্গল শহরতলীর শাহীবাগ এলাকায় গেলে দেখা যায়, শাহানা আক্তার নামে মধ্যবয়সী এক মহিলাকে আশেপাশের লোকজন মাথায় পানি দিচ্ছেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন জানান, শিরিন আক্তার, ইসরাল মিয়া ও হান্নান মিয়া সরকারের ভিপি ল্যান্ড বন্দোবস্ত নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে দেন। শাহানা ওই জায়গায় মঙ্গলবার ঘর তৈরী করতে গেলে শ্রীমঙ্গল ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা গিয়ে তাতে বাঁধা দেন। এ সময় শাহানা বলেন, হান্নান মিয়া, শিরিন গংরা প্রথমে তার কাছে শশ্বানঘাটের জমি বিক্রি করেন পরে শশ্বান ঘাট কমিটি সে জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ করে দেয়। পরে শশ্বান ঘাটের পাশে আরেকটি জমি তাকে দিবে বলে আরও দুই লক্ষ টাকা চায়। তিনি ধার করে গত বৃহস্পতিবার বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিরিন আক্তারকে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এর পর মঙ্গলবার সকালে নতুন জায়গায় ঘর তৈরী করতে গেলে ভুমি অফিস তাকে বাঁধা দিয়েছেন। এখন তিনি নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। এ সময় গ্রামের আরো বেশ কয়েকজন জানান, হান্নান মিয়া শিরিন গংরা এটি ৯৯ বছরের লিজ নেওয়া জায়গা বলে তাদের কাছে বিক্রি করেছেন।
এদিকে অনুসন্ধানে আরও জানা যায় শিরিনের কাছ থেকে ওই এলাকার লতিফ মিয়া ৬ শতক সরকারি জমি ৩ লাখ টাকা,কামাল মিয়া ৯ শতক ৭ লাখ টাকা,আহাদ মিয়া ৪ শতক ২ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করে এখন উচ্ছেদের আশংকায় আছেন ৷
ভুক্তভোগী পাখী বেগম বলেন, ৩লাখ টাকা দিয়ে ৬ শতক জমি কিনেছিলাম কিন্তু এখন শুনতে পেরেছি জায়গাগুলো সরকারি সম্পত্তি,আমরা গরীব মূর্খ মানুষ আমাদের সাথে শিরিন যে প্রতারনা করেছে আমরা তার বিচার চাই ৷
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, শাহীবাগ এলাকার হান্নান মিয়া ওই জমি একসনা বন্দোবস্তো নিয়ে ঘরবাড়ি তৈরী করছেন এবং অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন যা বেআইনী কাজ। এ জন্য হান্নান মিয়ার লিজ বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শিরিন আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি নির্বাচনী প্রচারনার কাজে ব্যস্ত আছি পরে এই ব্যাপারে কথা বলব ৷ হান্নান মিয়া লন্ডন থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন,ওই জায়গায় শশ্বানঘাটের ৪৩ শতক জায়গা ওই চক্রের দখলে ছিলো,আমরা ৩০ শতক জায়গা উদ্ধার করেছি , বাকি জায়গা উদ্ধারের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি ৷