যশোরের বেনাপোলে পিকনিক ট্রাজেডির ৫ বছর আজ : ৯ শিশু শিক্ষার্থীর স্মরণে শোক র্যালি
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৫/০২/২০১৯ , ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ

আরিফুজ্জামান আরিফ: যশোরের বেনাপোলে পিকনিকের বাস সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ৯ শিশু শিক্ষার্থী নিহত হবার
৫ বছর আজ ।এ স্মরণে শোক দিবস পালিত হয়েছে।
বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে শুক্রবার সকালে এ উপলক্ষে বিশাল এক শোক র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে শার্শার সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন সহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে নিহত শিশুদের স্মরন করেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের নেতৃত্বে উক্ত র্যালিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান,উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অালহাজ্ব এনামুল হক মুকুল ,সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার সহ বেনাপোলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক,বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এ ছাড়া বিদ্যালয়ে নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য ৪ বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে বেনাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে মেহেরপুরের মুজিবনগরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে চৌগাছার ঝাউতলা কাঁদবিলা পুকুর পাড়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৭ জন শিক্ষার্থী, আহত হয় আরো ৭০ জন শিশু শিক্ষার্থী ও ৩/৪ জন শিক্ষক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন শিক্ষার্থী মারা যায় ।
সেসময় ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিল , বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর দুই মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া (১০) ও তার বোন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী জেবা আক্তার (৮), একই গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মিথিলা আক্তার (১০), রফিকুল ইসলামের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তার মীম (৯), লোকমান হোসেনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শান্ত (৯), গাজিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির হোসেন (১০) ও নামাজ গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি (১১)।
১৩ দিন পর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছোট আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ইকরামুল (১১)।
সর্বশেষে ৩২ দিন পর ১৯ মার্চ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়ানুর রহমান (১১)।