সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর এপিএস সত্যজিতের জামিন বাতিল
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১৫/০১/২০১৯ , ৪:৫০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: আইন ও বিচার

আদালত প্রতিবেদক: দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সত্যজিৎ মুখার্জির জামিন বাতিল করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সত্যজিত মুখার্জি ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজির সুস্পষ্ট অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রী তাকে এপিএস পদ থেকে সরিয়ে দেন।
পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধানে সত্যজিৎ মুখার্জির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দুই কোটি ২০ লাখ ৬২ হাজার ৭২৬ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ জুন দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে রমনা থানায় দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় মামলা করেন।
এই মামলায় গত বছরের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট সত্যজিৎ মুখার্জিকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। পাশাপাশি স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না, সেই বিষয়ে রুল দেন।
মঙ্গলবার রুলের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। এ সময় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবদুর রউফ। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাতিল করেন।
সত্যজিতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘুষ লেনদেন থেকে শুরু করে নানা অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় প্রথম মামলা হয়। পরে বিভিন্ন সময় একই অভিযোগে আরও ১৮টি মামলা হয়। ঢাকার পল্টন থানায়ও সত্যজিতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল সত্যজিৎকে মন্ত্রীর এপিএসের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ জরুরি সভা করে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ, ঘুষ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাধারণ সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে।