বাউফলে জমজমাট ঈদ বাজার
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ১২/০৬/২০১৮ , ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ,বরিশাল বিভাগ,বিভাগীয় সংবাদ

এনামুল হক বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :-ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটায় ধুম লেগেছে বাউফলের ছোট-বড় হাটবাজারের বিপণী বিতাণগুলোতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচেপরা ভীর। দেশে কিংবা বিদেশে কর্মরত কর্মজীবীরা পরিবার পরিজনসহ ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ইতিমধ্যেই শহর ছেড়ে বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। যারা এখনো আসতে পারেননি তারা প্রিয়জনদের ঈদ সামগ্রী কেনাকাটার জন্য ইতিমধ্যেই পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে শুরু করেছেন। ব্যাংক, বিকাশসহ টাকা তোলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভীর লক্ষনীয়। ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রাম গঞ্জের হাটবাজারগুলো ক্রেতাদের ভীরে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। এরফলে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। এবছর বর্ষার সূচনায় ঈদ হলেও কাপড়, গার্মেন্টস, কসমেটিক্স ও জুতাসহ স্বর্ণলংকারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীর প্রমাণ করে দিচ্ছে মানুষের মধ্যে স্বচ্ছলতা বিরাজ করছে। মানুষের মনে উন্নয়নশীল দেশের আমেজ বিরাজ করছে। তাই সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েই যার যার কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে বাউফল, কালিশুরী, বগা, কনকদিয়া, হাজির হাট সহ দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি বাজার কালাইয়া বন্দরের বিপণী বিতাণগুলো আলোক সজ্জা ও বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নারী,পুরুষ,তরুন তরনী,যুবক যুবতী সকলেই শেষ পর্যায়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত। গার্মেস্টস সামগ্রী, পাজামা-পাঞ্জাবি, শাড়ি, চুরি, সেলোয়ার কামিজ, গহনা, জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে এখন প্রচন্ড ভীর। দেখা গেছে, এবছর বেশিরভাগ তরনীদের কাছে ফোরকাট গাউন, ময়ুরপঙ্খী ও পোড়ামনের চাহিদা বেশি। অপরদিকে তরুনদের কাছে ফ্যাড ষ্টাইলের জিন্স ও শার্ট এবং বাহারী রংয়ের পাঞ্জাবীর বেশি চাহিদা রয়েছে। মধ্য বয়সি পুরুষদের জন্য দেশি পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের কাতান, বেনারশি, জামদানি ও টাঙ্গাইলের শাড়ি বেশি পছন্দ।
তবে সকল বয়সিদের জন্যই দেশি পোষাকের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি অনেক পোষাক রয়েছে। যেগুলোর চাহিদাও ব্যাপক। একই সাথে বাচ্চাদের রঙ্গিণ জামা কাপড় ও জুতায় রয়েছে নানান বৈচিত্র। সবশেষে কসমেটিক্সের দোকানে চুরি, নেইল পালিশ, টিপ, আলতা, ষ্প্রে, কাজল ইত্যাদির জন্য ভির করছে ক্রেতারা।
তবে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, বেশিরভাগ দোকানেই অস্বাভাবিক মূল্য হাকিয়ে মালামাল বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস পোষাকগুলোতে ফিক্সড রেট নির্ধারণ করা নেই। এরফলে কেউ কেউ প্রতারিতও হচ্ছেন। সরকারিভাবে বাজারগুলোতে কোন মনিটরিং নেই। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন কাগুজে-কলমেই রয়েছে। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার বগা ও কালাইয়া ঘাটে প্রতিদিনই ১০/১২টি করে দোতলা লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঢাকা থেকে আসছে। এখন লঞ্চগুলোর আসার কোন সময় নির্ধারণ নেই। রাত ১ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো বাউফলের বিভিন্ন ঘাটে ভিড়ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পথে পথে স্থানীয়ভাবে চৌকিদার নিয়জিত রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পুলিশি টহল।