বাউফলে গ্রাম পুলিশে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ০৬/০৪/২০১৮ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জেলা সংবাদ

এনামুল হক বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে গ্রাম পুলিশে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্ধারিত বয়সের চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তি ও একাধিক মামলার আসামিকেও গ্রাম পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর ইউএনওর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাম পুলিশ নিয়োগের দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। যাতে প্রার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ ও অনূর্ধ্ব ৩০ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞপ্তির শর্ত তোয়াক্কা না করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত বয়সের চেয়ে ১৮ বছরের বেশি প্রার্থীকে কনকদিয়া ইউনিয়নে এবং একাধিক মামলার আসামি ও নির্ধারিত বয়সের চেয়ে ৮ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থীকে নাজিরপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাউফল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কনকদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম মো. নুরুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম তারিখ ২৩ জানুয়ারি ১৯৭০। সে অনুযায়ী নিয়োগকৃত ওই ব্যক্তির বর্তমান বয়স ৪৮।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি আমলে নেননি কমিটির সভাপতি ইউএনও।
এদিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মো. চুন্নু নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি একাধিক মামলার আসামি। যেসব মামলায় তিনি কারাভোগ করেছিলেন এবং ওই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ১৯৮০ সালের ১০ মে। তাঁর ছেলে (১৩) সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েকজন বলেন,‘চুন্নু এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এমনকি প্রকাশ্যে তাঁর বাবা-মাকে মারধর করেছে। তাছাড়া তাঁর ছোট ভাই মো. কবির হোসেনের বয়সও ৩৫ বছরের বেশি।সেখানে তাঁর (চুন্নু) বয়স ৩০ বছরের কম, এটা কেমনে সম্ভব?’
এ বিষয়েও এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গ্রাম পুলিশ নিয়োগ কমিটির সভাপতি হলেন ইউএনও। তাই তাঁকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলাম।’
ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান বলেন,‘জন্ম সনদপত্রের জন্মতারিখ দেখে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা এফিডেভিট করে সংশোধনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।