স্ত্রীর পরকীয়ার বলি আইনজীবি রথীশচন্দ্র ভৌমিক !
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ০৪/০৪/২০১৮ , ১:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়,জেলা সংবাদ,প্রধান সংবাদ,বিভাগীয় সংবাদ,রংপুর বিভাগ

রংপুরের আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও দীপার দুই সহকর্মীকে আটকের পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে র্যাব রংপুর শহরে রথীশের বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
রথীশের ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক সুবল লাশটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক মেজর আরমিন রাব্বি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দীপার অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে রথীশ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
যে বাড়িতে রথীশের লাশ পাওয়া গেছে, তা দীপা সহকর্মী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের ভাইয়ের বাড়ি।
দীপাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে মেজর রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, “তার দেওয়া তথ্যেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চার-পাঁচ দিন আগে হত্যার পর লাশটি নির্মাণাধীন বাড়িটিতে মাটিচাপা দেওয়া ছিল।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকও লাশ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রথীশ জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি এবং মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে নগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে রওনা হয়েছিলেন রথীশ। এরপর থেকে তার সন্ধান ছিল না।
অন্তর্ধানের পর ট্রাস্টের নেতারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কিংবা জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা ভূমিদস্যুরা রথীশকে ধরে নিয়ে গেছে।
কিন্তু সোমবার তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।
তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন রথীশ। তার স্ত্রী দীপা এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদা খাতুন জানান।
সোমবার সন্দেহভাজন নয়জনকে গ্রেপ্তারের পর কামরুল ও মতিয়ারকে আটক করা হলেও তখন কিছু জানায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেন কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা।