রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা!
পোস্ট করেছেন: মতপ্রকাশ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: ২৯/০৬/২০১৭ , ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: ধর্ম কথন

সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আরবী মাস সমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ মাস হলো, পবিত্র রমযান মাস। এ মাস কল্যাণময়, রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসেই পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস, সবুর ও ধৈর্য্যের মাস। এই মাস জীবনকে সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী ও নৈকট্য লাভের সেতুবন্ধন তৈরি করে।
আল্লাহর বান্দাদের জন্য রমজান মাস ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যান বয়ে আনে। তাই রোজা রাখলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার সাধিত হয়। যা কিনা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায়ও উঠে এসেছে। এখন জেনে নেয়া যাক স্বাস্থ্য ও মনের উপকারিতায় রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে।
ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়ঃ ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্তদের রোগীদের সবসময় ক্যালরি গ্রহণের ক্ষেত্রে আলাদা সতর্ক থাকতে হয়। রোজার দিনে ক্যালরি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আলাদা একটা নিষেধাজ্ঞা কাজ করে। তাই রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। (বারনোস্কাই-২০১৪)
বার্ধক্যকে দূরে রাখেঃ বার্ধক্য ভয় পায় না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। বার্ধক্য শরীর-মন দুটোকেই ভারাক্রান্ত আর অসহায় করে তোলে। রোজা রাখলে আয়ু বাড়ে এবং এটি বার্ধক্য সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে। (মাটসন এবং ওয়ান-২০০৫)
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিঃ রমজানে রোজা রাখার মাধ্যমে দেহ ও মনে নিঃসন্দেহে একধরণের ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। দুই দিন রোজা রাখলেই শরীরে হরমোন বাড়ার হার পাঁচ গুণ বাড়ে। রমজানে রোজা রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষের জন্ম হয়। ফলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়। (লি-২০০০)
চর্বি কমাতে সহায়তা করেঃ অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের জন্য অনেকেই অনেক সমস্যায় ভুগতেছেন। তাই তো ইসলাম অতিরিক্ত আহার গ্রহনের পক্ষে নয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের ফলে দেহে প্রচুর চর্বি জমে যায়, ফলে শরীর অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যাহত করে। কিন্তু রোজা রাখলে শরীরে জমে থাকা চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। (মানসেল- ১৯৯০)
হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধিঃ মানুষের শারীরিক মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে হরমোন বেশি প্রয়োজন, তা রোজা রাখার ফলে বৃদ্ধি পায়।(এম এল হার্টম্যান)